ফেসবুক যখন থেকে মার্কেটিং সার্ভিস চালু করেছে তখন থেকেই প্রত্যেক ব্যবসায়ের জন্য ফেসবুককে ব্যবহার করাটা প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে। একটা আলপিনের দোকান থেকে শুরু করে গাড়ির ব্যবসাও এখন ফেসবুকে করা সম্ভব। তাইনা?
কিন্তু অনেক মানুষকে দেখেছি তারা ব্যবসার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করছে ভুলভাবে। মানে তারা ঠিকভাবে বা সঠিক উপায়ে ফেসবুককে মার্কেটিং বা ব্যবসার কাজে ব্যবহার করতে পারছেন না।
মনে রাখবেন,
ফেসবুকে আছে প্রায় ২ বিলিয়নের বেশি ইউজার, যেখান থেকে আপনি আপনার উপযুক্ত ক্ল্যায়েন্টকে খুঁজে পেতে পারেন। ২ বিলিয়ন মানে ২০০ কোটি। ২০০ কোটি মানুষের মাঝে আপনার কাস্টোমার খুঁজে না পেলে, আপনি প্লিজ ব্যবসা করা ছেড়ে দিন।
ব্যবসায় টিকে থাকতে ফেসবুক পেজের বিকল্প নেই। কারন, আপনার পেজের ফলোয়াররা আপনার পণ্য বা সেবার আপডেট পেতেই থাকবে। যার মাধ্যমে আপনি একটা শক্তিশালী ব্র্যান্ডিং হওয়ার দিকে এগিয়ে যাবেন।
ফেসবুকের মার্কেটিং খরচ নেই বললেই চলে। তবে পেইড ক্যাম্পেইন তথা বুস্টিং করলে খরচ হবে সেটাও অনেক কম খরচেই শুরু করতে পারবেন। প্রত্যেক মাসে মাত্র ৪০০ টাকা দিয়েও ভালোমানের কাস্টোমার পাওয়া সম্ভব। যদি ঠিকভাবে করতে পারেন আর কি!
ফেসবুক আপনার ব্র্যান্ড পরিচিতির ব্যাপারে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কারন, আপনি নিয়মিত থাকলে আপনার পেজের ফলোয়াররা নিয়মিত আপনার কার্যবিধি দেখতে পাবে। ফলে, ব্র্যান্ডের পরিচিত সবার কাছে বিস্তার লাভ করবে।
ওয়েবসাইটে শুরুতে ভিজিটর পাওয়া খুবই কষ্টকর। কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমেও আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করা সম্ভব।
ফেসবুকে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ কোটির মত মানুষ ভিজিট করে এবং তারা গুগলের মত ফেসবুকেও অনেক কিছু সার্চ করে খুঁজে থাকে। যার ফলে আপনার পেজে ভিজিটর আসার ফলে বিক্রয় বৃদ্ধির সম্ভাবনাও থাকে। তবে সেটার জন্য ফেসবুক পেইজের এসইও করা উচিৎ।
অনেককেই দেখেছি তারা ফেসবুক পেইজের এসইও সম্পর্কে জানেন না। কিন্তু আপনার ফেসবুক পেইজও এসইও করা সম্ভব। যার আপনার সার্চ র্যাংক বৃদ্ধি করবে।
এখন ব্যবসা চালানোর জন্য দোকানের প্রয়োজন হয় না। মার্কেটিংয়ের বা প্রচারণা কাজে পোস্টারিং কিংবা কার্ড ছাপানোর দরকার পড়ে না। মোবাইল দিয়েই ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোকে ঠিকভাবে ব্যবহার করলেই আপনার ব্যবসা দাঁড়িয়ে যাবে নিমিষেই!
No comments:
Post a Comment