Friday, August 2, 2019

সিভি অতিরিক্ত বড় করতে যাবেন না।

>> সিভি অতিরিক্ত বড় করতে যাবেন না। সর্বোচ্চ ২-৩ পেইজ। নিশ্চয়ই চাইবেন না যাতে চাকরিদাতা আপনার সিভি অর্ধেকটা পড়েই প্রশ্ন করেন, "উপন্যাস লিখে নিয়ে আসছেন কেন?"
>> ফন্টে অতিরিক্ত স্টাইল করতে যাবেন না। আপনি প্রেমপত্র লিখছেন না, প্রফেশনাল সিভি লিখছেন। সেটা ভুলে যাবেন না!
>> দয়া করে মান্ধাতার আমলের সিভির ডিজাইন থেকে বের হয়ে আসুন। নিজের ক্রিয়েটিভিটি কাজে লাগান। শুধু মিম বানানোতেই ক্রিয়েটিভিটির ব্যবহার করবেন না, লাইফের ক্ষেত্রেও কাজে লাগান প্লিজ!
>> ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্সের ক্ষেত্রে কোম্পানির নামের পাশে তাদের লোগো ব্যবহার করতে পারেন। এটা বেশ প্রফেশনাল একটা লুক দেবে সিভিতে। আর নামের নিচে ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
>> ফ্রেশারদের সিভির প্রথম পাতাতেই থাকবে শিক্ষাগত যোগ্যতা। আর অভিজ্ঞদের সিভিতে থাকবে পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা। নিজের বায়োডাটা এমনভাবে লিখবেন না, যাতে সিভি পড়ার পরে চাকরিদাতা আপনার জন্য মেয়ে খোঁজা শুরু করে দেয়।
>> সিভি সব সময় পিডিএফ ফরম্যাটে জমা দেবেন। পিএনজি কিংবা ডকুমেন্ট ফাইল হিসেবে সিভি জমা দিলে সেটা দেখতে খারাপ লাগে। আর অফলাইনের ক্ষেত্রে সিভি খালি হাতে জমা দেয়ার চাইতে আলাদা ফাইলে করে জমা দেবেন। এটা সৌন্দর্য আর ভদ্রতাও। মেহমানকে আমরা বিস্কুট হাতে তুলে দিই না, প্লেটে রেখে বা সাজিয়ে তারপরে দিই।
>> সিভিতে জেলার নাম উল্লেখের কোন দরকার নাই, বরং উল্লেখ করলে বিড়ম্বনায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের দেশের অনেকেই অনেক জেলার লোকজনকে ভালো চোখে দেখেন না, যদিও এটা একটা অপচর্চা।
>> আর দয়া করে অ্যাচিভমেন্টকে অভিজ্ঞতার সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না। দুটো আলাদা সেকশন করে রাখুন।
>> স্কিল অংশে যা যা পারেন সবই যুক্ত করুন। টাইপিং স্পিডের ব্যাপারটা যুক্ত করুন পারলে। অনেকেই এটা করেন না। কিন্তু এটাও একটা বিশেষ স্কিল। স্কিলের বাংলা ভাবগত অর্থই হচ্ছে 'লোক দেখানো বা শো অফ!' যত পারেন করেন!
>> বাসার নম্বর, স্থায়ী ঠিকানা, বাবা-মায়ের নাম, জাতীয়তা, আকাঙ্খিত বেতন – এইসব সিভিতে উল্লেখ করার কোন দরকার নেই। এগুলো শুধুশুধু যুক্ত করে সিভিকে বড় করার মানেই হয় না। আপনার বাবা-মায়ের নাম কি চাকরিদাতা বাঁধিয়ে রাখবেন?
>> এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আর সেটা হচ্ছে, যে ধরণের চাকরির জন্য আবেদন করছেন সেই ধরণের মতো করে সিভি লেখুন। একঘেয়েমি সবকিছুতে একই ধরণের সিভি লেখা বন্ধ করুন।
আর বানান, ব্যাকরণ এসবের দিকে খেয়াল রাখবেন। আবারো বলছি, সিভি নিজে লেখুন। সত্য কথা বলতে, সিভির স্ট্যান্ডার্ড কোনো ফরমেট নেই। যে কাজের জন্য সিভি দেবেন সে অনুসারে স্টাইল আর ফরমেট পরিবর্তন হবে। যদি কোনো চাকরিদাতা সিভির ফরমেট আর আপনার সিভি লেখার স্টাইল নিয়ে অতিরিক্ত বকবক করেন, তাহলে সেই চাকরি না করাই বেটার।
কারণ?
যদি জয়েন হোন সেই কোম্পানিতে, তাহলে আপনার খবর আছে দাদা! চাকরি জীবন 'হেল' হয়ে যাবে আপনার! চাকরিদাতা আর বসকে চেনার সবচেয়ে ভালো উপায় সেটাই!

No comments:

Post a Comment