Friday, September 13, 2019

ডিজিটাল_মার্কেটিং_ক্যারিয়ার_কিভাবে_শুরু_করবেন???

সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি, আজকে আপনাদের সাথে তুলে ধরবো,ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কি কি শিখতে হবে এবং কিভাবে হবেন একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার।
বর্তমানে অনলাইন আয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনেকেই প্রত্যেক মাসে ১ লাখের উপরেও উপার্জন করতেছেন।
শুধু টাকার দিকটা না দেখে চলুন জেনে আসা যাক কিভাবে হবেন একজন ডিজিটাল মার্কেটার।
প্রথমে জেনে আসি ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে কি?
ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করার মাধ্যমে পন্য ও সেবার বিজ্ঞাপন ও প্রচার করা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যেমন মোবাইল, কাম্পউটার, ল্যাপটপের মাধ্যমে ইনটারনেট ব্যবহার করে সার্চ ইন্জিন, ওয়েবসাইট, ইমেইল, ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম মোবাইল এ্যাপস ইত্যাদি ব্যবহার করে পন্য বা সেবা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ক্রেতা বা ভোক্তার নিকট উপস্থাপন করা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এছাড়াও ডিজিটাল বিলবোর্ড বা টেলিভিশন পন্য ও সেবা প্রচার করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় একটি পেশা! আমি যদি বলি আমি একজন ডিজিটাল মার্কেটার তাহলে ভুল হবে, কারন আমি নিজেও এখনো ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারি নাই।
কারন ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের যতগুলো বিষয় আছে সবগুলোতে যদি আপনার বাস্তব জ্ঞান থাকে,এবং আপনি সবগুলো বিষয়ে যদি স্কিল থাকেন তাহলে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটার বলা যেতে পারে।
এখন চলুন দেখি কি কি বিষয় আছে ডিজিটাল মার্কেটিং এঃ
১.সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাউজেশন (SEO)
২. ভিডিও মার্কেটিং
৩. সোশিয়াল মিডিয়া মার্কেটিং
৪. ইউটিউব মার্কেটিং
৫. ইমেইল মার্কেটিং
৬. এফিলিয়েট মার্কেটিং
৭.সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
০৮.ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
০৯.কন্টেন্ট মার্কেটিং
১১.কন্টেন্ট অটোমেশন
১০.ক্যাম্পেইন মার্কেটিং
১১.সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন
১২.ই-কমার্স মার্কেটিং
উপরোক্ত বিষয় গুলোর সমন্বয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং।
তাহলে আমি বলেছিলাম,যে আমি নিজেকে একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ততক্ষণে বলতে পারিনা যতক্ষন না, আমি এই সবগুলো বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে না পারবো।
সহজ করে বলতে গেলে এইসব বিষয় গুলোর যেকোন একটি বিষয়ে যদি আপনি নিজেকে দাড় করাতে পারেন, নিজের পরিশ্রম দিয়ে এক্সপার্ট লেভেল এ নিয়ে যেতে পারেন। তাহলে আপনি অবশ্যই একটা সময় ভাল উপার্জন করতে পারবেন।
সহজ অনেক রাস্তাই আছে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে উপার্জন করার, কিন্তু আপনি যদি একটি বিষয়ে এক্সপার্ট হতে পারেন, তাহলে সেটা দিয়ে ভবিষ্যতে নিজেকে ভাল একটি জায়গায় দাড় করাতে পারবেন।
এখন কথা হচ্ছে কিভাবে শুরু করবেন???
আপনি প্রথমে যেকোন একটি বিষয় নিয়ে শুরু করেন, পোস্টের এই পর্যন্ত এসে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারনা পেয়েগেছেন আপনাকে কি কি শিখতে হবে।
সব কিছু একসাথে শুরু করাটা বোকামিও বটে, কারন সবগুলো বিষয় শুরু করলে নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন। নিজের উপর আকাশ সমান চাপ ও মনে হতে পারে।
তাই প্রথমে এগুলোর মধ্যে পছন্দের একটি বিষয় সিলেক্ট করতে পারেন।
যেমন ঃ আপনি যদি পছন্দ করেন প্রথমে ইউটিউব মার্কেটিং, তাহলে এই ইউটিউব মার্কেটিং এর সাথে আর কি কি বিষয় আপনার শিখা লাগবে দেখুন।
আপনি যদি ইউটিউব মার্কেটিং শুরু করেন তাহলে, আপনাকে কি কি শিখতে হবে???
প্রথমে আপনাকে ইউটিউব এর জন্য একটি নিশ পছন্দ করতে হবে, নিশ হলো আমরা বিষয় নিয়ে কাজ করবো সেটি হল নিশ, যেমনঃ কেউ গেমিং নিয়ে কাজ করেন গেমিং একটি নিশ।
নিশ পছন্দের পরে আপনাকে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে, অবশ্য ইউটিউব এর নিয়ম কানুন আগে এক সপ্তাহ পড়ে নিবেন। কন্টেন্ট তৈরি করতে হলে জানতে হবে ভিডিও এডিটিং, মোটামুটি ভাল লেভেলের ভিডিও এডিটিং করার জন্য আপনি ক্যামটাশিয়া (Camtasia Studio) দিয়ে শুরু করতে পারেন। আপনি এখন প্রফেশনালি ভিডিও এডিটিং শিখতেছেন না প্রয়োজন যতটুকু ততটুকু আবাদত শিখবেন।ভিডিও এডিটিং শিখার জন্য আপনি ইউটিউব এ সার্চ করতে পারেন,Camtasia Video Ediring Bangla TuTorial
.ওকে ধরে নিলাম আপনি ভিডিও এডিট করতে পারছেন।
যখন ভিডিও এডিটিং মোটামুটি লেভেল এর শিখতে পারবেন তখন আপনি ভিডিও আপলোড, এবং ইউটিউব ভিডিও এস ই ও,থাম্বনেইল মেকিং, ইউটিউব চ্যানেল ব্যানার মেকিং, এই বিষয় গুলো শিখতে হবে। এইগুলোও শিখার জন্য অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে আপনারা চাইলে আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকেও শিখে নিতে পারেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত.
ওকে, আবাদত এই বিষয় গুলো এক দুই মাস রিসার্চ করুন আবাদত যা যা বললাম।
তার পরে আপনার ভিডিও যখন আপলোড হতে যাবে তখন আপনা সোশিয়াল মিডিয়া প্রমোশন এর প্রয়োজন হবে।
আপনাকে ধীরে ধীরে সোশিয়াল মিডিয়া মার্কেটিং এর দিকে ঢুকবেন। আপনি শিখে নিবেনঃ
ফেসবুক মার্কেটিং
টুইটার মার্কেটিং
ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং
লিনক ইডিন মার্কেটিং
রেডিট মার্কেটিং
ইত্যাদি ইত্যাদি যত সোশিয়াল মিডিয়া আছে সবগুলোতে ধীরে ধীরে সময় দিন নিজের ব্রান্ডিং তৈরি করুন।
আর যত পারেন নিজের নেটওয়ার্কিং বড় করুন। অযথা এক হাজার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকার ছেয়ে ১০০ মার্কেটার দের ফলোয়ার হয়ে থাকাটা ও অনেক ভাল, সি ফাস্ট দিয়ে রাখুন, তাদের পোস্ট করা মাত্রই যেনো আপনি পেয়ে জান।
এইভাবে আপনি যদি শুধু ইউটিউব মার্কেটিং এবং সোশিয়াল মিডিয়া মার্কেটিং ও তিন চার মাসে আয়ত্বে নিয়ে আসতে পারেন। এই ইউটিউব মার্কেটিং এবং সোশিয়াল মিডিয়া মার্কেটিং দিয়েও খুব ভাল একটা আর্নিং জেনারেট করতে পারবেন।
ইতিমধ্যে যারা আমার এই পোস্ট টি পড়তেছেন আপনাদের ডিজিটাল মার্কেটিং অবস্থান কোন জায়গায় কমেন্ট এ লিখুন,এবং আমি যে দুইটি বিষয় বলেছি সেই দুইটি বিষয় সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকার পরেও যারা উপার্জন করতে পারতেছেন তারাও কমেন্ট করুন।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

No comments:

Post a Comment