Monday, July 29, 2019

ফ্রিল্যন্সিং , যেন লোকাল ট্রেনের কঠিন যাত্রা

ফ্রিল্যন্সিং , যেন লোকাল ট্রেনের কঠিন যাত্রা

বেশ অনেক বছর আগের কথা। তখন অনার্স পড়ি, থাকি উপজেলাতে। প্রতিদিন শহরে আসতে হত ক্লাশ করার জন্য। কলেজের শুরুর দিকের কয়েক বছর লোকাল ট্রেনে যাতায়েত করেছি ক্লাশ করার জন্য। মনে আছে ফজরের সময় সাইকেলে করে প্রায় ০৫ কিঃমিঃ দূরে ষ্টেশনে যেতাম, সেখানে একটা বাড়িতে সাইকেল রেখে লোকাল ট্রেনে করে শহরে পৌছাতাম। ক্লাশ শেষ করে দুপুরের পরে বা বিকেলে আবার ট্রেনে করে উপজেলা ষ্টেশন, এরপর সাইকেলে করে বাসায়। এভাবে প্রায় আড়াই বছর কলেজে ক্লাশ করেছি।
বেশির ভাগ সময় লোকাল ট্রেনে যাতায়েত করেছি। যাদের লোকাল ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা আছে শুধু তারাই বুঝতে পারবেন লোকাল ট্রেনে যাত্রা কাকে বলে  উদাহরণ দেই। ষ্টেশনে ট্রেন এসেছে। ট্রেনে আগে থেকেই যাত্রীতে ভর্তি। এদিকে ষ্টেশনে যেদিকে চোখ যায় মানুষ আর মানুষ। সবাই ট্রেনে চড়ার চেষ্টা করছে। হয়ত একজন যাত্রি ট্রেনের দরজার কাছে গিয়েছে, দরজার মুখে যেসব যাত্রি দাড়িয়ে আছে সবাই নিষেধ করছে, ভাই অন্যদিকে যান। দেখেন না দাঁড়ানোর কোন যায়গা নেই  নিচে দাঁড়ানো যাত্রীর কি করুন আকুতি, ভাই একটু যায়গা দেন, আমাকে যেতেই হবে, এর পরে আর কোন ট্রেন নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। তার পরেও কারো মন গলে না। এবার নিচে দাঁড়ানো যাত্রি বেপরোয়া হয়ে পড়ে। জোর করে দরাজার হাতল ধরে উঠে পড়ে। উপরের সবাই প্রতিবাদ করে, অনেক ঠেলাঠেলির পর যাত্রি দরজায় দারাবার জায়গা পায়। মুখে তার বিজয়ের হাসি 
মজার ব্যাপার হচ্ছে যায়গা পেয়ে যাবার পর, অন্য কোন যাত্রি উঠার চেষ্টা করলে, সেও একই আচরণ করা শুরু করে। দেখেন না ভাই দাঁড়ানোর কোন জায়গা নেই , অন্য দিকে দেখেন। অথচ কিছুক্ষণ আগে সেও নিচে দাঁড়ানো ছিল, উঠার জন্য সেও অনেক রিকয়েস্ট করেছিল। সেই কথা সে বেমালুম ভুলে যায়। এ যেন এক চেইন রিআ্যাকশন, অনেক কস্টে একবার উঠতে পারলেই হল। এরপর যেন আর কেউ না উঠতে পারে সেই চেষ্টা। বগির ভিতরে জায়গা খালি থাকলেও কাউকে ঢুকতে দেয়া যাবে না। ট্রেন একসময় ছেড়ে দেয়। অনেক লোক উঠতে না পেরে পরের ট্রেনের জন্য ষ্টেশনে অপেক্ষা করে। পরের লোকাল ট্রেনে আবার উঠার চেষ্টা করে। যত দিন যায় লোকাল ট্রেনে উঠা ততই কঠিন হয়ে পড়ে।
ফ্রিল্যন্সিংও অনেকটা এই লোকাল ট্রেনের মত। বগিটাকে আমরা মার্কেটপ্লেস মনে করতে পারি। এতে উঠতে চাইলেও, আগে থেকে যারা আছে তারা আপনাকে উঠতে দেবে না। কত অজুহাত, কত অসহযোগিতা, কিন্তু আপনার ইচ্ছা যদি প্রবল থাকে, তবে আপনি ঠিকই জায়গা করে নেবেন। কিন্তু একবার জায়গা করে নেয়ার পর আপনিও হয়ত তাদের মত হয়ে যাবেন, অন্য কেউ যেন উঠতে না পারে তারজন্যো প্রানপণ চেষ্টা করবেন। মনে হতে পারে নতুন আরেক জন যদি উঠে তবে নিজের সমস্যা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যে ঠিক করেছে উঠবে, সে কিন্তু উঠেই ছাড়বে। যেমন আমি কিন্তু আমার আড়াই বছরের ট্রেন যাত্রায় খুব কমই বার্থ হয়েছি ট্রেনে উঠতে 
কাজেই নতুনদের প্রতি বলব ফ্রিল্যান্সিং অনেকটা ট্রনের বগির মত। কেউ আপানাকে ছাড় দেবে না। আপনাকে যায়গা করে নিতে হবে। যদি হাল ছেড়ে দেন তবে আর উঠতে পারবেন না। সাফল্যের ট্রেন আপনাকে ষ্টেশনে রেখেই চলে যাবে। সংকল্প দৃঢ় হলে অবশ্যই ট্রেনে চরতে পারবেন। তবে অনুরোধ থাকবে নিজে ওঠার পর, অপর জনের দিকে হাত বাড়িয়ে দেবেন যেন সেও উঠতে পারে। অন্যকে সাহায্য করলে স্রস্টার রহমত আপনার উপর বর্ষিত হবে। আপনার যাত্রা আরও সহজ আর সাফলমন্ডিত হবে।
সবাই ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ!

চাকরি করব নাকি উদ্যোক্তা হব?

চাকরি নাকি মুক্তপেশা

ফ্রিলান্সিং বা মুক্তপেশা নিয়, অনেকেরই এক ধরনের বিভ্রান্তি বা ভুল ধারনা আছে। ফ্রিল্যন্সিং মানে হচ্ছে মুক্ত পেশা বা স্বাধীন পেশা। সে হিসেবে কৃষক, ব্যাবসায়ী, আইনজীবী, এমনকি রাস্তার মোড়ের ফুচকাওয়ালাও ফ্রিল্যন্সার। কারন তারা স্বাবলম্বী, কারো অধীনে চাকরি করে না। কিন্তু আমাদের দেশে ফ্রিলান্সার বলতে, সাধারণত আমরা যারা অনলাইন ফ্রিলান্সিং এর সাথে জড়িত তাদেরকেই বুঝি। আসলে অনেক সময় ভুল অনেক কিছু, সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। কিছু করার নেই। যেমন “এই খালি” বলে কাউকে ডাক দিলে বুঝা যায়, রিকশাওয়ালা, আবার “এই সিএনজি” বললে বুঝতে হবে, কেউ সিএনজি চালিত অটোকে ডাকছে। যদিও সবই ভুল। 
যা হোক বলছিলাম চাকরী করব নাকি আমি উদ্যোক্তা হব এই বিষয়ে। কিছু দিন আগে প্রথম আলোতে একটা জরিপ প্রকাশিত হয়েছিল যে, আমাদের দেশের ৮৫% তরুনের নিদিষ্ট কোন লক্ষ্য নেই। পড়াশোনা শেষ করে কে কি করবে, তারা তা জানে না। চাকরি করবে না স্বাধীন পেশায় যাবে সেটাও ঠিক করতে পারে না। আসলেই এটাই বাস্তবতা। আমাদের বেশিরভাগ তরুণ তরুণীদের পড়াশোনা শেষে কোন লক্ষ্য থাকে না, মোটামুটি একটা চাকরী পেলে, আর কিছু লাগে না। বিশেষ করে সরকারী চাকরী পেলে, সে যেন আকাশের চাঁদ পেয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবতা কি আমরা ভেবে দেখেছি। সাম্প্রতিক বিসিএস পরীক্ষায়, যে পরিমান দরখাস্ত জমা পড়েছে তার সংখ্যা নাকি মালদ্বীপের জনসংখ্যার থেকেও বেশি। মানে চার লক্ষেরও বেশি। অথচ নেয়া হবে মাত্র হাজার দেড় বা দুই হাজারের মত প্রার্থীকে। এর পরে আছে বিভিন্ন ধরনের কোটা। আর কোটা বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি।
 

আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস

আমার মতে স্বাধীন প্রতিটি পেশা সেটা শিল্প, ব্যবসা, কৃষি, ইত্যাদি যেমন কিছু হোক না কেন, সবকিছুতেই ভালো করা সম্ভব। মুন্নু সিরামিকস বিশ্বে সিরামিকসের ক্ষেত্রে তিন নম্বর প্রতিষ্ঠান। আমাদের গার্মেন্টস শিল্প এখন বৈদেশিক আয়ের মূল উৎস। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ার পরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। 
 
মসলিন পরিহিত এক সম্ভ্রান্ত রমণী
স্বাধীনতার পরে আমাদের খাদ্যে চরম ঘাটতি ছিল। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ, শুধু তাই নয় স্বাধীনতার পরে, আমাদের খাদ্য উৎপাদন প্রায় চার গুন বেড়েছে।  এর মুল অবদান এই স্বাধীন পেশাজীবীদের। আজ থেকে ৪০০ বছর আগে আমাদের পূর্ব পুরুষরা প্রধানত তিনটি পেশায় নিয়োজিত ছিলেন ব্যবসা, শিল্প এবং কৃষি। তখন চাকরি করার প্রবণতা তেমন ছিল না। কৃষিতে তাদের মেধা এত বিকশিত হয়েছিলো যে, ৩৫০ প্রজাতির ধান উৎপাদন করতেন তারা। যত ধরনের সুগন্ধি মশলা আছে সবই তারা উৎপাদন করতেন।

শিল্পে তারা মেধাকে এত বিকশিত করেছিলেন যে, মসলিনের মতো সূক্ষ্ম কাপড় তৈরি করতেন। টেক্সটাইল টেকনোলজির সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন এই মসলিন। আজ পর্যন্ত তুলা থেকে এর চেয়ে মিহি কাপড় তৈরি করা সম্ভব হয় নি। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত মসলিনের মত কাপড় তৈরি করতে পারেনি। ঢাকা যাদুঘরে গেলে মসলিন দেখতে পারবেন। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ আঁশের তুলা উৎপাদিত হতো যশোর এবং বরেন্দ্র এলাকার আশপাশে। আমাদের সওদাগরেরা সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিতেন। চট্টগ্রামে জাহাজ তৈরি হতো। চট্টগ্রামে যে ‘বহদ্দার হাট’ রয়েছে সেটি ছিলো ‘বহরদার’ অর্থাৎ নৌবহরের দার বা প্রধানের জায়গা। আমাদের কারিগররা জাহাজ বানাতেন। সেই জাহাজে তারা জাভা, সুমাত্রা, মালদ্বীপ, সিংহল প্রভৃতি দেশে যেতেন। বালিতে রামায়ণের নাটক অভিনয় তাদের সংস্কৃতির অংশে পরিণত হয়েছে। কারণ তাদের পূর্বরুষেরা এই বাংলা থেকেই গিয়েছিলেন। 

প্রাচীন ভাইকিং যদ্ধাদের যুদ্ধ জাহাজ, যার অনেকগুলই এই বাংলা থেকে গিয়েছিল
বাংলার বীর বিজয় সিংহ সিংহলের পত্তন করেন, সিংহল নাম তার নামানুসারেই বর্তমানে যাকে আমরা শ্রীলংকা হিসেবে চিনি। মধ্যযুগে ভাইকিংরা যে জাহাজ দিয়ে যুদ্ধ করত, তা এই বাংলা থেকেই গিয়েছিলো। ভাইকিংরা আমাদের তৈরি জাহাজ দিয়ে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় পৌঁছেছিল। সেটা কলম্বাসের অনেক আগের কথা। সমুদ্রযাত্রা আমাদের সংস্কৃতির এত অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিলো যে, চাঁদ সওদাগরের কাহিনীর মতো লোকসাহিত্য সৃষ্টি হয়েছিলো। ফলশ্রুতিতে সেসময় আমাদের এই উপমহাদেশের জিডিপি ছিলো বিশ্বের জিডিপির ২২-২৩%। আর তখন ইংল্যান্ডের জিডিপি ছিলো বিশ্ব জিডিপির এক শতাংশ মাত্র। মুর্শিদাবাদ ছিলো লন্ডনের চেয়েও বড় শহর।

 আমাদের পেশা সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি বদল হল যেভাবে

ঔপনিবেশিক ইংরেজ শাসনামল থেকে আমাদের পেশা সংক্রান্ত ধ্যানধারণা, পরিবর্তিত হতে শুরু করল। ইংরেজরা আমাদের ব্রেইন ওয়াশ করে, আমাদের মানুসিকতাই চেঞ্জ করে দিল। আমাদের মধ্যে ধারণা সৃষ্টি হলো যে, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সৃজনশীল কাজগুলো করার কোনো ক্ষমতাই আমাদের নেই। আমাদের অবস্থা দাঁড়ালো, খাঁচায় আবদ্ধ পাখির মতো। এন্টারপ্রেনিউয়ার বা উদ্যোক্তা হবার স্পিরিট হারিয়ে, আমরা নিজেদেরকে শুধুমাত্র চাকরিজীবী অর্থাৎ চাকর ভাবতেই স্বাছন্দ্যবোধ করতে শুরু করলাম। সেই ঔপনিবেশিক ধ্যান ধারণা আমরা এখনো ধারন করি।  এখনো চাকরগিরি বা চাকরি করা আমাদের প্রথম পছন্দ। যেখানে আমাদের পূর্বপুরুষ সওদাগরেরা সাত সমুদ্র তেরো নদী অনায়াসে পাড়ি দিতো, সেখানে সৃষ্টি হলো কালাপানির ধারণা, অর্থাৎ কেউ সমুদ্র যাত্রা যদি করে, তো তার জাত চলে যাবে, জাতচ্যুত হবে। ফলে কালক্রমে আমরা পরিচিত হলাম দুর্ভিক্ষপীড়িত, বন্যা কবলিত, জরা-ব্যাধি জর্জরিত একটি জনপদ হিসেবে। দেশ ভাগের পরেও আমাদের কোন উন্নতি হয়নি, তাইত পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হবার পর, কিসিঞ্জার আমাদেরকে তলা বিহীন ঝুড়ি হিসেবে বলতে সাহস পেয়েছিল।

আশার কথা

আশার কথা হচ্ছে আমাদের বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে স্বাধীন পেশার প্রতি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এখন স্বাধীন পেশায় ভাল করছে। দেশে এখন অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। অনলাইনে কাজ করতেই হবে এমন নয়। এর বাহিরে শিল্প, ব্যবসা, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজের অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। কাজেই যারা ফ্রিল্যন্সিং এর নামে অনলাইনে পড়ে থেকে কিছুই করতে পারছেন না, তারা অন্য দিকেও চেষ্টা করতে পারেন। লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই।

একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা

আমাদের মধ্যে ভুল একটা ধারনা আছে বা আমারা মনে করি সরাসরি একটা ব্যাবসা বা স্বাধীন পেশায় নেমে গেলেই হবে। এর থেকে ভুল ধারনা আসলে কোন কিছু হতে পারে না। আমি কিন্তু চাকরি করার বিরোধী নই। আমি বলব স্বাধীন পেশা বেছে নেয়ার আগে কিছু দিন চাকরি করা।  কারন হচ্ছে কোন ব্যাবসা বা স্বাধীন পেশা শুরু করতে হলে, সেটার সম্পর্কে আপনার খুব ভাল ধারনা থাকতে হবে। না হলে বার্থ হবার সম্ভবনা শতভাগ। আর এই ধারনা পাবার জন্য উচিৎ কিছুদিন চাকরি করা, বা হাতে কলমে শিক্ষা নেয়া। মুন্নু সিরামিকসের কথা বলছিলাম, তার প্রতিষ্ঠাতা হারুন উর রশিদ খান মুন্নু, খুব সুন্দর একটা কথা বলেছিলেন। আর সেটা হচ্ছে কোন ব্যাবসা শুরু করতে গেলে, আগে উচিৎ সেই সেক্টরে চাকরি করে ভাল অভিজ্ঞতা  অর্জন করা, এর পরে ব্যাবসা শুরু করা। এটা না করলে সে ফেল করবে। আমারও একই মত।  প্রত্যেক ব্যবসা বা স্বাধীন পেশার সাফল্যের একটা গুপ্ত রহস্য আছে। সেটা এমনি এমনি বোঝা যায় না। সেটা বুঝতে হলে অনেক গভিরে ডুব দিতে হবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। 

একটি শিক্ষণীয় গল্প
একটা গল্প মনে পড়ে গেল। অনেক আগে এক ব্যবসায়ীর গল্প। তিনি  বাংলাদেশ থেকে অর্ধ প্রক্রিয়াকৃত চামড়া বিদেশে পাঠা্তেন। সেই চামড়া বিদেশে পাকা করে, বিদেশি বায়ার আবার দেশে পাঠাত। সেই  পাকা চামড়া দিয়ে জুতা তৈরি করে, আবার বিদেশে রপ্তানি করা হত। তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন, সেই চামড়া পাকা করার রহস্য বের করতে, যেন দেশেই সব কিছু করা যায়। কিন্তু বিদেশি বায়ার কোন মতেই গোমর ফাঁস করে না। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানলেন যে, এই অর্ধ পাকা চামড়া নাকি হংকং এর প্রক্রিয়াজাত করে পাকা করা হয়। তিনি হংকং এ যান,  অনেক চেষ্টা করেন ফ্যাক্টরি ভিজিট করার। কিন্তু কোন সুযোগই পাচ্ছিলেন না, এতটাই গোপনে সব কিছু হয় যে, বাহিরের কাউকে ঢুকতেই দেয় না। পরে তিনি বুদ্ধি করে, একজন সাধারণ অভিবাসি শ্রমিক হিসেবে সেই কারখানায় চাকরি নেন। প্রায় তিন মাস সেই কারখানায় পড়ে থেকে, সব কিছু হাতে কলমে ভাল করে শেখেন। সব শেখা শেষ হলে, তিনি দেশে ফেরত আসেন। তিনি তার কারখানা নিয়ম অনুযায়ী আপগ্রেড করেন। আগে যে অর্ধ প্রক্রিয়াজাত চামড়া পাকা করার জন্য, বিদেশে পাঠানো হত, সেটা আর করার দরকার লাগল না। তার ব্যাবসা খুব দ্রুতঁই ফুলে ফেপে উঠল। আসলে এটা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আপনার যদি পোল্ট্রি ফার্ম দেয়ার ইচ্ছা থাকে, আমি বলব আগে ৬ মাস একটা পল্ট্রি ফার্মে চাকরি করেন। দরকার হলে তাদের অগ্রিম টাকা দেন, কাজ শেখার জন্য। যদি ফ্রিলান্সিং করতে চান তবে সফল কোন ফ্রিলান্সারের আণ্ডারে বেশ কিছুদিন ইন্টার্নশিপ করে। আপনি অবশ্যই সফল হবে। এটা আসলে  অন্য যে কোন ব্যাবসা বা স্বাধীন পেশার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

পরিশিষ্ট

স্বাধীন পেশায় বা ফ্রিলান্সিং করতে যাওয়া নিয়ে আপনার যে হতাশা, যে বিভ্রান্তি ক্যারিয়ার সংক্রান্ত এ হতাশা ও স্তবিরতার মূলে রয়েছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিগত অবক্ষয়। ১০/১২ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়ে আমরা এখনো গর্ব করি। অথচ স্বাধীন পেশায় কত অনাগ্রহ। আসলে যত আমরা পূর্বপুরষদের সেই সাহসী চেতনাকে, সেই উদ্যোগ ও উদ্যমকে জাগ্রত করতে পারবো, তত আমাদের মেধাকে আবারো শতধারায় বিকশিত করতে পারবো। নিজের অনন্য মেধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা স্বাধীন পেশায় সফল হতে পারব। আসলে স্বাধীন পেশায় যে মজা সেটা চাকরীতে নেই।
যারা স্বাধীনপেশায় আছে তাদের সালাম জানাই। আর যারা স্বাধীনভাবে কিছু করতে চান তাদের স্বাগত জানাই। অযথা সময় নষ্ট না করে নেমে পড়ুন। পথে নামলে পথই পথ দেখায়!
ধন্যবাদ! 

ফ্রিল্যন্সারের সামাজিক পরিচয় কি? আর আমি যেভাবে আমার স্বীকৃতি আদায় করেছি!

আমি কে? কি আমার পরিচয়?

আমি একজন ফ্রিল্যন্সার, সামান্য হলেও বৈদেশিক মুদ্রা, দেশে আনার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে কিছুটা ভূমিকা রাখছি। এই গর্বে গর্বিত হলেও আমার নিজের সামাজিক পরিচয় নিয়ে খুবই দ্বিধাদন্দে ছিলাম। আমি আসলে কে? কি আমার পরিচয়? আমরা যে দেশের জন্য কিছু করছি, সেই দেশ আমাদের স্বীকৃতির জন্য কি কিছু করছে? পেশার স্বীকৃত আদায়ের জন্য আমরা কি করতে পারি। এটা নিয়ে আমার এই লেখা।

নিজের কিছু বাজে অভিজ্ঞতা (২০১৮ সালের আগে)

১। গ্রামে থাকি, ওয়াজ মহফিলের চিঠি বাসায় এসেছে। খামের উপর আমার নামের নিচে পদবী হিসেবে “বিশিষ্ট সফটওয়্যার ব্যাবসায়ি”  লেখা,। আমি হাসব না কাঁদব ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না  যদিও গত চার বছর ধরে সবাইকে বুঝাবার চেষ্টা করছি আমি কে কি করি । কিন্তু মনে হয় না কেউ বুঝবে।
২। ব্যাংক একাউন্ট করতে গিয়েছি। পেশা কি জিজ্ঞেস করতে, বললাম ফ্রিল্যন্সার। উত্তরে বলল এটা লেখা যাবে না। জিজ্ঞেস করলাম কি লিখব তাহলে। বলল ব্যবসায়ী লেখেন। সেটাই লিখলাম। কিছু করার নেই।
৩। পাসপোর্ট করতে যেয়েও একই অবস্থা। ফ্রিল্যন্সার লেখা যায় না। পরে ব্যাবসায়ি লিখলাম।
৪। পাত্রিপক্ষ বিয়ের কথা  পাকা করতে এসেছে এসেছে। আমাকে ধরে নিয়ে গেছে পাত্রের অভিভাবক হিসেবে। পাত্রি পক্ষে কলেজের শিক্ষক, সরকারী চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী রয়েছেন। পাত্র পক্ষে শুধু আমিই আছি। পরিচয় পর্বের শুরুতে তারা তাদের পরিচয় দিল। আমি কি করি জিজ্ঞেস করতে বললাম, ফ্রিল্যন্সিং করি, কি করি সবাইকে বুঝালাম। কেউ বুঝল বলে মনে হয় না। যদিও এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, এগুলো সবাই কম বেশি জানে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কেউ এগুলো ভাল করে বোঝার চেষ্টা করে না, আমাকে কেউ পাত্তাই দিল না, আলচনার এক ফাকে চুপ করে বেরিয়ে এলাম। আমি যে চলে এসেছি, সেটা কেউ খেয়ালই করল না। আসলে এই পেশার কোন দাম এখনো বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়নি ভাল করে বুঝতে পেলাম। আরও অনেক সময় লাগবে আমাদের স্বীকৃতি আদায় করতে।

আরও কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা

১।একজন ফ্রিলান্সার আমাকে তার দুঃখের কথা বলেছিল। বিয়ের বয়স হয়েছে পাত্রি দেখা চলছে। একজনকে পাত্রি হিসেবে পছন্দ হয়েছে। পাত্রির বাবা, ছেলে কি করে জিজ্ঞেস করল। ফ্রিল্যন্সিং করে বলা হল। কিন্তু তারা কিছুতেই ব্যাপারটা বুঝতে পারল না। পরে এক কোচিং সেন্টারের, এক শিক্ষকের সাথে সেই মেয়ের বিয়ে দিল। কিন্তু ফ্রিল্যন্সারের কাছে না। অথচ তার ইনাকাম মাসে লাখ টাকার উপরে।
২। পরিচিত এক ফ্রিলান্সার, গত এক বছর ধরে তার খুব ভাল ইনকাম। এবারের ঈদে প্রথম বারের মত তার সব আত্মীয় স্বজনের জন্য কেনাকাটা করেছে। প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি বাজার। সবাই খুব খুশি। ঢাকায় কি করে জিজ্ঞেস করতে, জানাল ফ্রিল্যন্সিং করে। ব্যাপারটা কেউ বুঝল না। আড়ালে বলাবলি করতে লাগল, সে আসলে ঢাকায় হেরোইন আর ইয়াবার ব্যাবসা করে। নাহলে রাতারাতি এই রকম ইনকাম কেমনে করে। এই কথা শুনে বেচারার মনটাই খারাপ হয়ে গেল।
৩। আমার ছেলে স্কুলে পড়ে। তার বাবা কি করে জিজ্ঞেস করলে বলে ফ্রিল্যন্সার। কিন্তু কেউ বুঝে না। কম্পিউটারের কাজ করে বললে, মনে করে বাজারে ফ্লেক্সিলোড আর কম্পিউটার কম্পোজের কাজ করে । যদিও এখন আল্লাহর রহমতে সেই সমস্যা নেই। বিস্তারিত নিচে বলছি!
৪। আমাকে একজন ইনকাম ট্যাক্স বিশেষজ্ঞ জিজ্ঞেস করল ইনকাম ট্যাক্স দেই কিনা? আমি বললাম ফরেন রেমিটেন্সের জন্য ইনকাম টাক্স হয় না। সে বলল ভুল কথা। ফ্রিল্যন্সারদের ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে। কারন ফরেন রেমিটেন্স ইনকাম করতে হলে বিদেশ অবস্থান করতে হবে এটাই নাকি শর্ত। আমরা যেহেতু দেশে থাকি তাই এটা রেমিটেন্স হিসেবে গণ্য হবে না। যেমন শ্রমিক ভাইয়েরা বিদেশে থাকে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে তাহলে পোশাক খাত কিভাবে ফরেন রেমিটেন্স আনে? কারন তারা কিন্তু দেশে বসেই ইনকাম করে। উত্তর আপনারাই দিন।
৫। একজন ব্যাঙ্কে গিয়েছে ডলার আনতে পারছে না এটা সমধানের জন্য। কোথায় কাজ করে বলার পর বলল একাউন্ট নেম আর পাসওয়ার্ড দিতে হবে। কেন জিজ্ঞাস করতে বলল তারা চেক করে দেখবে আসলেই দলার ইনকাম হয় কিনা। এখন আপনারাই বুঝেন অবস্থা। একজন ফ্রিল্যন্সারের একাউন্ট নেম আর পাসওয়ার্ড দেয়া আর বউকে অন্যের কাছে দিয়ে দেয়া সমান কথা। সে রাজি হয়নি, কাজও হয়নি, আসলে এই রকম গল্প বলে শেষ করা যাবে না।

তাহলে আমার পেশার পরিচয় কি?

এখন আমার প্রশ্ন হল। আমার পেশার কি পরিচয়? আমি সমাজে আমাকে কি হিসেবে পরিচয় দেব? জানি আপনারা অনেকেই নিজের মত অনেক রকম ব্যাখা দেবেন। কে কি ব্যাখা দিল সেটা তার ব্যাপার। আসল কথা হচ্ছে সমাজ কি মনে করল সেটাই আসল। অনেকি বলতে পারেন আপনি যা করেন সেটাই বলবেন, যেমন গ্রাফিক ডিজাইনার, ওয়েব প্রগ্রামার, কন্টেন্ট রাইটার, মার্কেটার, ব্লগার ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার কথা হাচ্ছে যে দেশের মানুষ অনলাইন পেশার মত সাধারণ একটা বিষয় বোঝেনা, তারা এই ধরনের কঠিন কঠিন টার্মস আরও বুঝবে না। অনেকইত ভুল বুঝবে। যেমন কেউ যদি নিজেকে একজন ব্লগার হিসেবে পরিচয় দেয়, তবে তার খবর আছে। সমাজের চোখে সে নাস্তিক। ব্লগার এখন আমাদের দেশে সবথেকে ঘৃণিত একটা শব্দ। বাস্তবতা হচ্ছে সমাজ আমাদের পেশার কোন স্বীকৃতি দেয় না। একজন ফ্রিল্যন্সারের থেকে, ১৫ হাজার টাকা বেতনের একজন চতুর্থ শ্রেণীর সরকারী কর্মচারীর হাজার গুন দাম আছে এই সমাজে। বিয়ে করতে গেলেই ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়ে যাবে। ডলারের স্ক্রিনসট দিয়ে, বায়ারের ফিডব্যাক দিয়ে নিজেকে বিরাট কিছু মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সমাজের কাছে এর কোন মূল্য নেই। আপনি ৫০ হাজার টাকা ইনাকাম করে নিজেকে বিরাট কিছু মনে করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হল এখন মোড়ের ফুচকা ওয়ালা, চা ওয়ালাও মাসে আপনার থেকে বেশি ইনকাম করে। আমাদের এলাকার এক সুইপার নাকি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করে। কাজেই টাকা ইনকাম সম্মানের মানদণ্ড হতে পারে না।
আমার মতে এখন পেপালের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের সামাজিক স্বীকৃতি আদায় করা। জানি না সবাই আমার সাথে একমত কিনা। শুনেছিলাম সরকার আমাদের জন ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড দেবে। জানি না এটার এখন কি অবস্থা। পেপাল নিয়ে যে তেলাসমাতি কিছুদিন পর পর  তাতে আর ভরসা পাই না। শুনলাম ফ্রিল্যন্সারদের নিয়ে একটা সংগঠন হয়েছে। আশা করি এই বিষয়ে তারা কিছু করবে। আমার নিজের মেয়ে যখন বড় হবে, তার বিয়ে দিতে গেলে পাত্র পক্ষকে, আমার পেশা কি বলব এটা নিয়ে আমার প্রায়য়ই টেনশন হত। মানে গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।  কিন্তু আমি আমার নিজের পরিচয় তৈরি করতে পেরেছি। কাজেই এটা নিয়ে এখন টেনশন করি না। কিভাবে সেটা করেছি তার বর্ণনা দিচ্ছি।

আমি যেভাবে আমার পরিচয় তৈরি করেছি

আমি নিজের মত করে একটার সমাধান বের করেছি। আমার প্লান ছিল নিজের একটা সাজনো গোছানো অফিস হবে। সেখানে কিছু এমপ্লয়ি থাকবে। ৯টা-৫টা অফিস হবে। অফিসের নাম থাকবে। মাঝে মাঝে লোকজন দেখা করতে আসবে। চা কফি খেতে দেব। সর্বপরি বলতে পারব, আমি এই কোম্পানির মালিক। একটা সামাজিক স্বীকৃতি পাব অন্তত। বিশ্বাস করেন ২০১৮ সালের আগে, ফ্রিল্যন্সিং থেকে এটাই এখন আমার কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারন আমি গ্রামে থাকি, আর গ্রমে পেশার স্বীকৃতি খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস! এটা না পেলে এখানে আপনার ফুটো পয়সা দাম নেই। প্রায় চার বছর ঘরে বসে কাজ করেছি, মানুষ কি করি জিজ্ঞেস করলে, বলেছি ফ্রিলান্সিং করি, বিদেশি বায়ারের কাজ করি ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেনি। পিছনে অনেক আজে বাজে কথা শুনেছি। মন খারাপ হয়েছে। কিছু বলতে পারিনি।
২০১৮ সালে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে যাত্রা শুরু করি। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করি,  শুরুতেই বাড়ির পাশেই সুন্দর একটা ফ্লাট বাসা পেয়ে যাই। গ্রাম বলে ভাড়াও অনেক সস্তা। ২০১৮ জানুয়ারিতে আমার নিজের প্রতিষ্ঠান RAI Technologys (RAITEC) এর যাত্রা শুরু হয়।  প্রতি মাসে অল্প অল্প করে অফিস ডেকারেশন সাজিয়েছি আর পিসি কিনেছি। ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে মোটামুটি অফিসের সব কাজ শেষ করি। সুন্দর অফিস ডেকারেশনের পাশাপাশি, বর্তমানে আমারদের অফিসে ১২ টা পিসি আছে।  আলাদা রিসিপশন রুম আছে, ভিজিটরদের বসার ব্যাবস্থা আছে। চা কফির পাশাপাশি ফিল্টার পানির ব্যাবস্থা আছে। আইপিএ এর মাধ্যমে বিকল্প বিদ্যুতের বাবস্থা আছে। আর সাথে আছে ১০ MPBS এর হাই স্পিড ইন্টারনেট, চাইলে আরও বাড়ানো যাবে। অর্থাৎ একটা অফিস সেটাপের, সব ধরনের সর্বাধুনিক ব্যাবস্থা আমাদের আছে। এখন গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা  আমাদের অফিসে প্রায়ই আসে। কোন গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করার জন্য আমাদের অফিসের রিসিপশন সবার জন্য ওপেন করা আছে। কারণটা আর কিছুই না, যেন আমাদের প্রচার হয়, আমরা কি করি সবাই যেন সেটা জানতে পারে। ফলে অনেকেই অফিসে এসে আলাপ আলোচনা করে, মিটিং করে এমন কি পাত্র পাত্রী দেখার কাজও আমাদের অফিসে হয়েছে। অফিস দেয়ার পর থেকে দেখেছি এলাকায় সবাই আমাকে চেনে। বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিয়মিত দাওয়াত পাই। বিশেষ করে এলাকার কোন বিয়ের দাওয়াত এখন আমার মিস হয় না। ২০১৮ সালের আগে, নিকট আত্মীয় স্বজন ছাড়া, কোন বিয়ের দাওয়াত পেয়েছি বলে মনে পড়ে না।  এলাকায় এখন আমাকে অনেকেই ফলো করে, আইকন হিসেবে মানে।  আমার সামাজিক পরিচয় নিয়ে এখন আর কোন হীনমন্যতায় ভুগি না। কেউ এক ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে বলি, আমার নিজের কোম্পানি আছে, বিদেশি বায়ারের কাজ করি, অফিসের ঠিকানা দিয়ে চায়ের দাওয়াত দেই, সবাই খুশি হয়।

কিছু অর্জনঃ

  • ২০১৮ সালে এলাকার ১২ জন বেকার যুবক যুবতীকে বেসিক কম্পিউটিং, এবং গ্রাফিক্সের উপর ছয় মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ দেই।
  • ২০১৮ সালে মোট ০৬ জনেক আমাদের অফিসে কাজের ব্যাবস্থা করি।
  • ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজ্য দিবস উপলক্ষে এলাকায় বড় একটা সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। প্রায় চারশত দর্শকের উপস্থিতিতে অত্যন্ত সফল ভাবে এই প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। ইচ্ছা আছে প্রতি বছর এটা করার।
  • ২০১৯ সালে নিজেদের সার্ভিস সাইটের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে সাইটের এসিও এবং মার্কেটিং এর কাজ চলছে। ইচ্ছা আছে মার্কেটপ্লেস থেকে বের হয়ে বায়ারের সাথে সরাসরি কাজ করার।
  • ২০১৯ সালে আরও ০৮ জন যুবক যুবতীকে বিনামুল্যে বেসিক কম্পিউটিং, এবং গ্রাফিক্সের উপর প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। বর্তমানে তাদের প্রশিক্ষণ চলছে।
  • এলাকায় কিছু মসজিদ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আমাদের কোম্পানির পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়েছে।
  • বর্তমানে আমাদের অফিসে আমরা ইকমারস ইমেজ প্রসেসিং এর কাজ করি। প্রতিদিন ১০০০+ ছবির কাজ করার ফ্যাসিলিটি আছে। যদিও খুব অল্প পরিমানে কাজ এখন পাচ্ছি। দোয়া করবেন যেন কাজের পরিমান বাড়াতে পারি।
  • শুনতে হাসকর মনে হলেও, আমার অফিসের দুই মেয়ে এমপ্লয়ির, ভাল যায়গায় বিয়ে হয়েছে, আমাদের অফিসে জব করে এই পরিচয়ের কারনে। এজন্য আমি গর্বিত।
  • ইচ্ছা আছে এই বছর অফিসকে আরও বড় করার এবং এলাকার আরও বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থান করার। সবার দোয়াপ্রার্থী!

পরিশিষ্টঃ

আমাদের এই সমাজে কেউ কাউকে জায়গা এমনিতে দেয়া না। নিজের জায়গা নিজের করে নিতে হয়। আমাদের পেশার পরিচয় দেয় না বলে, বসে থেকে হা হুতাশ করা বোকামি। নিজের  পরিচিয় নিজেকেই তৈরি করে নিতে হবে। যেমনটা আমি করেছি। আমি এখন নিজেকে একজন ফ্রিলান্সার এই পরচয়ে আবদ্ধ রাখতে চাই না। আমি এখন এর থেকে বেশি কিছু, আমি এখন একজন এন্টারপ্রেনুয়ার বা উদ্যোগতা, যে  নিজের পাশাপাশি দেশ ও সমাজের সেবা করে। এটাই আমার এখন মূল পরিচিয়।
তবে কিছু কথা থাকে। সবাইকেই যে আমার এই স্টাইল ফলো করতে হবে এমন নয়। বেশিরভাগ ফ্রিলান্সার তাদের পেশার পরচিয় নিয়ে মাথা ঘামায় না , কে কি বলল তাতে তাদের যায় আসে না। তাদের বড় কোন সপ্ন নেই, নিজে নিজে কাজ করে, মটামুটি ইনকাম হচ্ছে এতেই তারা সন্তুষ্ট। আমার মতে তাদের আমার এই স্টাইল ফলো করার কোন দরকার নেই। কারন একটা প্রতিষ্ঠান দাড় করানো কি পরিমান কষ্টের, সেটা গত দেড় বছরে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। কাজেই চ্যালেঞ্জ নেয়ার যোগ্যতা না থাকলে বা সাহস না থাকলে এই পথে পা না বাড়ানই ভাল।  তবে কারো যদি বড় কোন স্বপ্ন থাকে, যদি ইচ্ছা থাকে বড় কিছু করার, দেশ ও সমাজের জন্য কিছু করার তবে বলব এখনই সময় শুরু করে দেয়ার। আমার পক্ষ থেকে যদি কোন ধরনের পরামর্শের দরকার হয়,  তবে তার জন্য আমি সব সময় প্রস্তুত আছি। নির্দ্বিধায় আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমার এই লেখা পড়ে ১/২ জন মানুষও যদি কোন দিক নির্দেশনা পান তবে এই লেখা ধন্য!
সবাই ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ!

Fiverr নিউ রিভিউ সিস্টেম ২০১৯

নতুন রিভিউ সিস্টেম

আপনার সবাই জানেন Fiverr ২০১৯ সালে, অর্ডারে রিভিউ দেয়ার জন্য নতুন সিস্টেম চালু করেছে। নতুন রিভিউ সিস্টেম সংক্ষেপে আলোচনা করা হচ্ছে।

১. অর্ডার কমপ্লিট করার পর বায়ার ১০ দিন সময় পাবে রিভিউ দেয়ার। এর পরে আর রিভিউ দিতে পারবে না।
২. বায়ার রিভিউ দেয়ার পর আপনি একটা নোটিফিকেশন পাবেন। কিন্তু বায়ারের রিভিউ দেখতে পারবেন না।
৩. আপনার বায়ারকে রিভিউ দেয়ার পর পরই শুধু বায়ারের রিভিউ দেখতে পাবেন এবং এটা পাবলিকলি আপনার গিগে শো করবে। এর আগে বায়ারের রিভিউ দেখা যাবে না।
৪.সেলার যদি বায়ারকে কোন রিভিউ নাও দেয়, তার পরেও ১০ দিন পার হয়ে গেলে বায়ারের রিভিউ গিগে আটম্যাটিক্যালি শো করবে।

(টিপসঃ যদি মনে করেন বায়ার নেগেটিভ রিভিউ দিতে পারে, তবে বায়ারের রিভিউর কোন উত্তর দেবেন না, ১০ দিন পর বায়ারের রিভিউ আটো পাবলিশ হবে, কিন্তু তত দিনে আপনি আরও ভাল রিভিউ পাবেন অন্য বায়ারদের কাছে থেকে। ফলে এই নেগেটিভ রিভিউ অন্য রিভিউ গুলোর নিচে চলে যাবে। কেউ আপনার গিগ চেক করার সময় হয়ত এই নেগেটিভ রিভিউ খেয়াল করবে না। আর বায়ার যদি আসলেই নেগেটিভ রিভিউ দেয় তবে আপনি এর বিপরীতে উত্তর দিতে পারবেন ৯নং পয়েন্ট খেয়াল করুন)

৫. সেলার ১০ দিনের  মধ্যে বায়ারকে রিভিউ না দিলে এর পরে আর রিভিউ দিতে পারবে না।
৬. রিভিউ দেয়ার পর বায়ার বা সেলার আর রিভিউ চেঞ্জ করতে পারবে না।
৭, Fiverr এর নিয়ম অনুযায়ী, যদি মনে করেন বায়ার অন্যায় ভাবে আপনাকে নেগেটিভ দিয়েছে, টেকনিক্যাল কোন কারনে নেগেটিভ হয়ে গেছে, বা কোন রুলস ভংগ হয়েছ্‌ তবে আপনি সাপোর্টে যোগাযোগ করতে পারেন। (যদিও ৯৯% সম্ভবনা হচ্ছে ফলাফল বায়ারের দিকে যাবে)

সাবধানতাঃ  আমার মতে এই রুলস ইউজ করার উচিৎ হবে না।ভুলেও রিভিউ চেঞ্জ করার জন্য,সাপোর্টে যোগাযোগ করা উচিৎ না। এমনকি বায়ারকেও এই ব্যাপারে বলা যাবে না। কারন বায়ার যদি সাপোর্টে যোগাযোগ করে, বা সাপোর্ট যদি ইচ্ছা করে, তবে আপনার রিভিউ ত ডিলিট হবেই না, বোনাস হিসেবে একটা ওয়ার্নিং খাবেন। তাই আমার মতে রিভিউ চেঞ্জ করার চিন্তা বাদ দিয়ে, অন্য কাজ ভাল করে করেন। পরের কাজ গুলতে ৫ স্টার পেলে এই ক্ষতি সহজেই কাটিয়ে উঠবেন। মনে রাখবেন আপনার একাউন্ট রক্ষা করা জরুরী!

৮. সেলার এবং বায়ার রিভিউ দেয়ার পর শুধু সেলারের রিভিউ বায়ারের প্রফাইলে এবং বায়ারের রিভিউ সেলারের প্রফাইলে শো করবে। পূর্বের মত গিগে বায়ার এবং সেলারের রিভিউ এক সাথে শো করবে না।

৯. বায়ার এবং সেলারের রিভিউ পাবলিশ হবার পর, সেলার চাইলে বায়ারের বায়ারের রিভিউর উপর তার নিজের মতামত দিতে পারে। বিশেষ করে বায়ার যদি তার কাজে সন্তুষ্ট না হয়, যদি নেগেটিভ রিভিউ দেয়, তবে সেলারের যদি কোন বক্তব্য থাকে, এই সেকশনে সেটা বলা যেতে পারে। এটা শুধুমাত্র সেলারের প্রফাইলে বায়ারের রিভিউ নিচে শো করবে। নিচের স্ক্রিনশট দেখুন। ১০ দিন পার হবার পরেও আপনি এই অপশন ইউজ করতে পারবেন।

সাবধানতাঃ আমার মতে বায়ার যদি নেগেটিভ দেয় তবে আপনি কাজটি কিভবে করেছেন, কত কষ্ট করেছেন ইত্যাদি এই সেকশনে ব্যাখ্যা করতে পারেন। ভুলেও বায়ারের কোন বদনাম করবেন না। মনে রাখবেন যে কোন মার্কেটপ্লস বায়ারের স্বার্থ রক্ষা করে। কাজেই বায়ার এই ব্যাপারে কোন অভিযোগ করলে আপনার প্রফাইলের ক্ষতি হবে।


কিছু টিপসঃ

১. ভাল করে কাজ করবেন যেন বায়ার নেগেটিভ দেয়ার কোন সুযোগ না পায়।
২. গিগে বলে দিতে পারেন “100% money back Guarantee  ফলে বায়ার কাজে সন্তুষ্ট না হলে রিফান্ড নেবে। আপনার নেগেটিভ পাবার সম্ভবনা থাকবে না।
৩. বায়ারকে সরাসরি ০৫ স্টার রিভিউ দেয়ার কথা বলা যাবে না এবং চালাকি করেও কোন কিছু বলা যাবে না যেমন “Give me 5*” ” Five sta r revi ew” ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা এখন পুরাপুরি রুলসের বাহিরে। যারা এখনো এই ধরনের চালাকি করেও ধরা খাননি, তারা দয়া করে সাবধান হয়ে যান। না হলে একদিন সকালে উঠে দেখবেন আপনার সাধের একাউন্ট নেই , Fiverr আমাদের থেকে অনেক বেশি স্মার্ট এই কথা সব সময় মনে রাখবেন।
৪. রিভিউ চাওয়ার জন্য আমি কাজ ডেলিভারি দেয়ার সময় নতুন বায়ারকে এই কথা বলি
“You are my new client. So if you like my work, then I am requesting you to give me a rating according to your satisfaction level, which will keep my profile alive. If you are not satisfied with my work then, I will do your jobs until achieving your 100% satisfaction.”
আপনি এটা ফলো করতে পারেন।
৫. অনেক সময় ০৩ দিন পর কাজ অটো কমপ্লিট হয়ে যায়। নতুন বায়ার যখন Fiverr এ আসে তখন এটা দেখে মনে করে তার ডলার সব বিফলে গেছে, সে মনে হয় আর রিভিউ চাইতে পারবে না। ফলে অনেক সময় ভুল বুঝে নেগেটিভ রিভিউ দিয়ে দেয়। এর থেকে বাঁচার জন্য, তিন দিন পর অর্ডার অটো কমপ্লিট হবার মেসেজ পাবার সাথে সাথে বয়ারকে এই মেসেজ দিতে পারেন।
I was waiting for your reply. This order is showing as automatically completed. However, don’t worry, I am always here. If you need any modification, please inbox me. I will do my best for you.
৬. নেগেটিভ খাওয়ার মত কোন কাজ না করার পরেও, যদি দেখেন যে বায়ার আপনাকে নেগেটিভ দিতে পারে, তবে আমার মতে বায়ারকে ০৫ স্টার রেটিং দিয়ে আপনি কি কি কাজ করেছেন এবং কাজটা যে খুব চ্যালেনজিং ছিল এবং আপনি অনেক কস্ট করেছেন সেটা ব্যাখ্যা দিয়ে একটা রিভিউ দিতে পারেন। অথবা উপরের ৯ নং পয়েন্ট ফলো করেন। আন্দাজে বায়ারকে নেগেটিভ দেয়ার মত বোকামি এখন থেকে আর করবেন না। কারন মনে রাখবেন “Buyer is Always Right” এই নীতি কথা মেনে চললে আপনি এই লাইনে অনেক ভাল করবেন।
৭.মনে রাখতে হবে Fiverr সব সময় আপডেটের মধ্য দিয় যায়। তাই রিভিউ সিস্টেম নিয়ে কোন ধরনের সংশয় থাকলে এই লিঙ্ক চেক করবেন।
সবাই ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ! 

রিভিউঃ লোগো ডিজাইন শেখার জন্য, learning & earning tube ইউটিউব চ্যানেল

রিভিউঃ লোগো ডিজাইন শেখার জন্য, learning & earning tube ইউটিউব চ্যানেল

আপনি কি জানেন Fiverr এর সব থেকে হট ক্যাটাগরি কোনটা? জি ঠিকই ধরেছেন, “Logo Design” এই লেখা যখন লিখছি, তখন প্রায় ৯৩ হাজারের উপর গিগ আছে শুধু লোগোর উপর, এবং এটা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অন্য কোন সিঙ্গেল ক্যাটাগরিতে এত গিগ নেই।
 আসলে Fiverr এ যে পরিমান লোগোর কাজ পাওয়া যায়, অন্য কোন মার্কেটপ্লেসে সেটা কল্পনাও করা যায় না। এর অন্যতম একটা কারন হচ্ছে এখানে অর্ডার করা, এবং কাজ বুঝে নেয়া খুবই সহজ। বায়ার দ্রুত অর্ডার ডেলিভারি নিতে পারে, আর তেমন কোন ঝামেলা নেই বললেই চলে। ক্যাটাগরি অনুসারে, কাঙ্ক্ষিত লোগোর গিগ, বায়ার সহজেই খুজে বের করতে পারে। ফলে সময় অনেক বেঁচে যায়। আর এই জন্যই কোন লোগোর দরকার পড়লে, বায়ারেরা Fiverr এ বেশি নক দেয়।
Total logo gig
বিশেষ করে যে সব বায়ারের বাজেট কম, সে সব বায়ারের বেশি নক দেয়। কিন্তু এটা মনে করার কোন কারন নেই যে, এখানে লোগোর রেট অনেক কম। বাস্তবতা হচ্ছে এখানে অনেক বেশি রেটে কাজ করা যায়, আর যেহেতু কাজ প্রচুর তাই ডিজাইনারদের এভারেজ ইনাকামও অনেক ভাল। আনন্দের সংবাদ হচ্ছে বাংলাদেশি লোগো ডিজাইনাররা, এখানে অনেক ভাল করছে। দেশের বেশ কয়েক জন লোগো ডিজাইনার আছেন টপ রেটেড সেলার হিসাবে।
 
লোগোর প্রতি আমার আগ্রহ অনেক দিনের। কারন আর কিছুই না, অল্প পরিশ্রমে ইনকামে বেশি। ইউটিউব ঘেটে এবং কাছের ভাই ব্রাদারদের জ্বালাতন করে কিছুটা শিখেছিলাম। কিন্তু ব্যাস্ততার কারনে তেমন সময় দিতে পারিনি। এই শেখা দিয়ে আর যাই হোক, প্রফেশনাল কাজ করা যায় না। কয়েক মাস আগে সিরিয়াস হই শেখার ব্যাপারে। আমার মতে শেখার জন্য বেষ্ট হচ্ছে ভাল কোন লোগো ডিজাইনারের সাথে থেকে শেখা। না পেলে ভাল কোন ট্রেনিং সেন্টার, আর সেটাও না থাকলে ইউটিউব, ইউডেমি, লিন্ডা এসবের ভিডিও টিউটোরিয়াল। যেহেতু আমি গ্রামে থাকি তাই আমার সরাসরি সুযোগ নেই। তাই অনলাইনই ভরসা। লিন্ডা এবং ইউডেমির বেশ কিছু ভিডিও দেখি, কিন্তু আমার কাছে সেগুলো অনেক বেশি থিওরিটিক্যাল এবং এডভান্স মনে হয়েছে। তাই বেসিক শেখার জন্য, বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেল ফলো করা শুরু করি। তবে নতুন হিসেবে আমার কাছে একটা ইউটিউব চ্যনেল সব থেকে মনে ধরেছে, যেটা আমি ফলো করছি। সেই ইউটিউব চ্যানেল সেটা নিয়েই আজকের এই লেখা।
 
লোগো শিখতে গেলে যেটা প্রথমেই মনে হয়, এ আর এমন কি? এই লোগোটাত সহজেই করা যায়. কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে একটা ইউনিক লোগো তৈরি করতে গেলে, অনেক স্টাডি করতে হয়, সময় দিতে হয়। কিন্তু কিভাবে লোগোটা তৈরি হল, কেউ সেটা দেখিয়ে দিলে, তখন সেটা খুবই ইজি মনে হয়। এটা নিয়ে মজার একটা গল্প মনে পড়ে গেল। কলম্বাস মাত্র আমেরিকা আবিস্কার করে স্পেনে ফেরত এসেছে। তার সম্মানার্থে রাজপ্রাসাদে বিশাল পার্টি দেয়া হয়েছে। খাবার টেবিলে সেনাবাহিনীর এক জেনারেল, কলম্বাসের সাথে রসিকতা করে বলছে, আমেরিকা আবিস্কার এ আর এমন কি কঠিন কাজ ছিল 🙂 একটা জাহাজ নিয়ে সোজা পশ্চিম দিকে যেতে থাকলে, এক সময় না এক সময় আমেরিকা পৌঁছে যেতাম। উত্তরে কলম্বাস কিছুই বলল না। সে খোসা ছাড়ানো একটা সিদ্ধ ডিম, জেনারেলকে দিয়ে বললেন, এটাকে আপনি সোজা করে টেবিলের উপর দাড় করা্‌ দেখি কেমন পারেন। জেনারেল অনেক কসরত আর চেষ্টা করেও সফল হল না। এবার কলম্বাস ডিমটা হাতে নিয়ে, নিচের সামান্য অংশ এক কামড়ে ফেলে দিল। এর পর ডিমটা সোজা করে টেবিলের উপর দাড় করিয়ে দিল। জেনারেল এটা দেখে বলল, আরে এ আর এমন কি কঠিন কাজ ছিল 🙂 উত্তরে কলম্বাস বলল, দেখিয়ে দিলে সব কাজই সোজা, কিন্তু এর আগ পর্যন্ত সব কিছু কঠিন আর আসম্ভব হয়ে থাকে।
 লোগোর ব্যাপারটাও তাই, দেখিয়ে দিলে অনেক সহজ। কিন্তু নিজে নিজে ইউনিক কিছু করতে গেলেই বুঝা যায়, কত ধানে কত চাল। তবে ভয়ের কিছু নেই। আপনার ভিতর যদি ক্রিয়েটিভিটি থাকে, তবে লোগো ডিজাইন আপনার জন্য। বলছিলাম "learning & earning tube" এর কথা।  শেখানোর স্টাইল, আমার অনেক ভাল লেগেছে। তিনি কোন টূল্‌ ধরে ধরে শেখান না। জাস্ট লোগো ডিজাইন শেখানো শুরু করে দেন। শেখানোর স্টাইল অনেক সহজ। লোগো ডিজাইন শিখতে শিখতেই, আপনি দরকারি টুলসগুলো শিখে যাবেন। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে লোগো ডিজাইন শেখার জন্য, হাতগোনা কিছু টুলস শিখলেই যথেষ্ট। 
 
তার চ্যানেলে প্রায় ৫০ টার উপর ভিডিও আছে। আমার পরামর্শ থাকবে প্রতিদিন একটা করে ভিডিও দেখবেন এবং অনুশীলন করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি সেটা ভাল করে শিখছেন। এভাবে একটা টেকনিক শেখা হল। এর পরে আরেকটা ভিডিও। এভাবে শিখতে থাকলে আশা করা যায় ৩ মাসে লোগো ডিজাইনের বেসিক ভাল ভাবে শেখা হয়ে যাবে। এর পরে নিজের মত করে কিছু ইউনিজ ডিজাইন করেন। সে গুলো দিয়ে Behance এ পোর্টফলিও ডেভেলপ করেন। Fiverr এ প্রফেশনাল মানের প্রোফাইল খুলে শুধু লোগোর উপর গিগ দেন। আশা করা যায় ভাল কিছু হবে। আজকে যারা বড় বড় লোগো ডিজাইনার, তাদের শুরুটাও এভাবে সাদামাটা ভাবে শুরু হয়েছিল। আসলে শুরু করাটা জরুরী। পথে নামলে পথই পথ দেখায়। লোগোর ব্যাপারে পরামর্শ নিতে গেলে একেক জন একেক ধরনের পরামর্শ দেবে। আপনি বিভ্রান্ত হবেন। তাই আমি বলব ৩ মাসের একটা প্লান রেডি করেন। এবং শুধু এই চ্যনেল ফলো করবেন। তিন মাস পরে আপনি নিজেই বুঝে যাবেন আপনার অবস্থান কি এবং কি করা দরকার।
 
সবাই ভাল থাকবেন।
 
ধন্যবাদ!

Sunday, July 28, 2019

Fiverr এর আইডি ভেরিফিকেশন কিভাবে করবেন?

Fiverr এর আইডি ভেরিফিকেশন কিভাবে করবেন

আপনারা সবাই জানেন যে বেশ অনেকদিন ধরেই ফাইবারের আইডি ভেরিফিকেশন চলছে। আগে এটা বেটা মোড বা পরীক্ষাধীন মোডে ছিল এবং একাউণ্ট ভেরিভাই করতে অনেক সময় নিত। কিন্তু এখন এটা ফাইনাল করা হয়েছে, ফলে আইডি ভেফিফিকেশন অনেক নির্ভুল ভাবে হচ্ছে এবং সাথে সাথেই রেজাল্ট দিয়ে দিচ্ছে। তারা ধাপে ধাপে সবার আইডি ভেরিফিকেশন করবে। বিশেষ করে যারা নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন  এবং যাদের একাউন্টে সন্দেহ জনক কিছু আছে বলে Fiverr মনে করছে, তাদের একাউণ্ট আগে ভেরিফাই করছে। তবে মনে রাখতে হবে যে, যে কারো একাউন্ট যে কোন সময় ভেরিফাই করার জন্য বলতে  পারে। 
আসলে সবার একাউন্টই এর ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে।তাই আমি বলব এখন থেকে সবার সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিৎ।  কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বিষয়টা অনেকের কাছে, বিশেষ করে নতুনদের কাছে এখনো ক্লিয়ার না। না জেনে ভেরিফাই করার চেষ্টার ফলে অনেকের এ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যাচ্ছে এবং শুধু তাই না অ্যাকাউন্ট ব্যান পর্যন্ত হচ্ছে।আসলে বিষয়টি খুবই ইজি, এবং একটু মাথা ঠান্ডা করে ট্রাই করলে, সহজেই ১/২ মিনিটেই একাউন্ট ভেরিফাই করা সম্ভব। 
একাউণ্ট কখন ভেরিফাই করব?
আপনার একাউন্টে  নিচের মত কোন মেসেজ দেখেন তখন আপনাকে একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে।
Verify your id
মেসেজ না আসলে  আগ বাড়িয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করার কোন দরকার নেই। একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য আপনি ১৪ দিন সময় পাবেন। এই সময়ের ভেতরে আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে। যদি ১৪ দিন এর ভিতরে একাউন্ট ভেরিফাই করতে ব্যর্থ হন, অথবা ভুল ভাবে একাধিকবার একাউন্ট ভেরিফাই করার চেষ্টা করেন, তবে আপনার অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যাবে। একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হয়ে গেলেও, আপনি একাউণ্টে ঢুকতে পারবেন, তবে কোন বায়ার আপনাকে নতুন অর্ডার করতে পারবে না, বা মেসেজ দিতে পারবে না। তবে আপনি আপনার চালু অর্ডারগুলো ডেলিভারি দিতে পারবেন এবং আপনার একাউন্টের ডলার উঠাতে পারবেন 
তবে ভয়ের কোন কারণ নেই, অ্যাকাউন্ট যদি রেস্ট্রিক্টেড হয়েও যায় তবে আপনি সাপোর্টএ যোগাযোগ করলে, তারা আপনাকে আবার সুযোগ দেবে একাউন্ট ভেরিফাই করার। আপনি আপনার তোলা ছবি, তাদের দিয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন, ছবিতে কোন সমস্যা আছে কিনা।  তবে আমি বলব প্রথম সুযোগই অ্যাকাউন্ট  ভেরিফাই করা উচিৎ। কারণ অ্যাকাউন্ট যদি কোন কারনে রেস্ট্রিক্টেড হয়, তবে একাউন্ট ফেরত পেলেও, প্রোফাইলের বেশ ক্ষতি হতে পারে, বিশেষ করে গিগের র‍্যাঙ্ক হারাতে পারে, এমনকি গিগ ডিলিট পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই এই ব্যাপারে সবার সাবধান হওয়া উচিত।
একাউণ্ট ভেরিফাই করতে কি কি লাগে?
একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য আপনাকে তিন ধরনের আইডি কার্ডের  যে কোনো একটির হার্ডকপি থাকতে হবে যথা
১। জাতীয় পরিচয় পত্র (NID)
২। ড্রাইভিং লাইসেন্স (মেয়াদ থাকতে হবে)
৩। পাসপোর্ট (মেয়াদ থাকতে হবে)
 মনে রাখতে হবে কোন ধরনের অনলাইন কপি গ্রহণযোগ্য না। কাজেই অনলাইন কপি দিয়ে চেষ্টা না করাই ভালো। দয়া করে কেউ চালাকি করতে যাবেন না, বিশেষ করে ছবি ইডিট করে বা গলা কাটা আইডি কার্ড বানিয়ে সেটার ছবি তুলে, একাউন্ট ভেরিফাই করার চেষ্টা কখনোই করবেন না। এতে আপনার সাধের অ্যাকাউন্ট চিরদিনের মত হারাতে পারেন। মনে রাখবেন Fiverr আমাদের থেকে অনেক বেশি চালাক। 
একাউণ্ট ভেরিফাই করার ধাপ সমূহ
সবকিছু রেডি থাকলে আপনি অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই শুরু করতে পারেন। একাউণ্ট ভেরিফাই করতে আপনাকে মাত্র দুইটি কাজ করতে হবে। 
১। NID/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্টের ছবি সাবমিট করা
২। নিজের সেলফি তুলে সাবমিট করা। 
স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে আপনাকে একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে। যদিও আগে পিসি দিয়েও করা যেত, কিন্তু এখন Fiverr স্মার্ট ফোনকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। একাউণ্ট ভেরিফাই করার জন্য, ভাল রেজুলেসনের ক্যামেরা যুক্ত স্মার্ট ফোন ইউজ করবেন। একাউন্ট খোলার সময় যে মোবাইল নাম্বার দিয়েছিলেন সেটা ব্যাবহার করতে হবে। 
১ম ধাপ
পিসিতে আপনার একাউন্টে লগিন করুন। ভেরিফাই করার মেসেজে ক্লিক করুন। নিচের স্ক্রিনসটের মত একটা মেসেজ আসবে।  আপনি QR কোড স্কান অথবা মোবাইলে মেসেজ এই দুই অপশনের একটি সিলেক্ট করতে পারেন। মোবাইল নাম্বার সিলেক্ট করলে আপনার মোবাইলে একটা মেসেজ আসবে। সেই মেসেজের লিঙ্কে ক্লিক করলে আপনাকে মোবাইলের ডিফল্ট ব্রাউজারে নিয়ে যাবে। অনেক সময় মোবাইলে মেসেজ নাও আসতে পারে। এই ক্ষেত্রে আপনি স্মার্ট ফোনের যে কোন QR কোড স্কানার ইউজ করতে পারেন। পিসি স্ক্রিনে QR কোডের উপর আপনার মোবাইল ধরবেন। QR কোড স্কানার স্কান করে আপনাকে একটা লিঙ্ক শো করবে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলে একই ভাবে আপনাকে মোবাইলের ডিফল্ট ব্রাউজারে নিয়ে যাবে। এর পরে আপনি আপনার ভেরিফিকেসন কমপ্লিট করতে পারবেন। 
২য় ধাপ
 নিচের স্ক্রিনশটের মত অপশন আসতে পারে। 

আপনি কি দিয়ে আইডি ভেরিফাই করবেন সেটা সিলেক্ট করে OK প্রেস করুন।  আপনার NID/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সামনের দিক ক্যামেরার সামনে ধরে ছবি তুলবেন।ওকে প্রেস করবেন। দ্বিতীয় ধাপে আরেকটি অপশন আসবে, সেখানে আপনার সেলফি তুলবেন। ক্যামেরার রেজুলেশন ভাল হতে হবে এবং পর্যাপ্ত আলো থাকতে হবে। যেন আপনার চেহারা ভাল করে বুঝা যায়। আইডির সাথে চেহারার হুবহু মিল না থাকলে সমস্যা নেই। 

তবে একেবারে বিপরীত হলে সমস্যা যেমন মেয়ের প্রফাইলে ছেলের ছবি ইত্যাদি ইত্যাদি। নিচের ছবি খেয়াল করুন, আইডি কার্ডের সাথে ছবি মোটামুটি মিল আছে। সব থেকে ভাল হয় দিনের পর্যাপ্ত আলোতে ছবি তুললে। এবার OK প্রেস করুন। সব ঠিক থাকলে নিচের স্ক্রিন শটের মত একটা মেসেজ আসবে যে আপনার ভেইফিকেশন কমপ্লিট হয়েছে। 
আপনার করনীয়ঃ
১। আপনার NID/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স রেডি রাখুন। NID বা ড্রাইভিং লাইসেন্স না থকলে পাসপোর্ট করতে পারেন। Fiverr এর নিয়ম অনুযায়ী ১৩ বছর বয়স হলেই সে Fiverr এ কাজ করতে পারবে। যেহতু আমাদের দেশে ১৮ বছরের আগের NID বা ড্রাইভিং লাইসেন্স হয় না, তাই পাসপোর্টই ভরসা। 
২। অযথা তাড়াহুড়া করে প্রফাইল চেঞ্জ করবেন না। এতে আপনার রেগুলার বায়াররা বিভ্রান্ত হবে, আপনার সেলসের ক্ষতি হবে। ভাবে চিন্তে চেঞ্জ করেন।
৩। আপনার যদি কোন কিছুই না থাকে তবে আপনার প্রফাইল আপনার নিকট জনের আইডি দিয়ে ভেরিফাই করতে পারবেন। প্রফাইলও সেই ভাবেই সাজাবেন। ছবিও তারটাই দেবেন। প্রফাইলে যদি লোগো থাকে বা আপনার ছবির আভাটার থাকে তবে চেঞ্জ না করলেও চলে (ব্যক্তিগত মত)। ফুল, লতাপাতা, দেশী বিদেশি সুন্দরী মেয়ের ছবি দ্রুত চেঞ্জ করুন। নিকট জনকে দিয়ে প্রফাইল ভেরিফাই করে আপনি শুধু প্রফাইল ইউজ করবেন। অনেকে সফল সেলার আছে যাদের বয়স ১৮ হয়নি। তারা তাদের নিকট আত্মীয় স্বজন যেমন বাবা, ভাই, মা, বনের আইডি দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করতে পারেন।  তাদের জন্য এটাই বেস্ট। একাউন্টের ইনফরমেশন চেঞ্জ করার জন্য এই লিংকে যান। 
৪। ছবি ইডীট করে বা ক্রপ করে ভুলেও দেবেন না। একসেপ্ট করবে না। ছবি টেবিল বা বিছানার উপর রেখে পর্যাপ্ত আলোতে তুলবেন। যেন সবকিছু ন্যাচারাল মনে হয়। 
৫। একটা আইডী কার্ড দিয়ে একটা একাউন্ট একবারই ভেরিফাই করা যাবে। অন্য একাউণ্টে ভুলেও ইউজ করা যাবে না। 
Fiverr যেভাবে একাউন্ট ভেরিফাই করে
একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করছি। কারন ব্যাপারটা অনেকেই জানে না, বা গুরুত্ত দেয় না। সেটা হচ্ছে Fiverr এর রুলস অনুযায়ী কারো একাউন্ট ব্যান হয়ে গেলে সে আর কখনোই Fiverr এ কাজ করতে পারবে না। অর্থাৎ কোন প্রোফাইল আর কোন দিনই খুলতে পারবে না। এটা শুধু Fiverr না অন্যান্য মার্কেটপ্লেসেরও একই রুলস। আমাদের এই রুলস আগে খুব একটা মানার দরকার পরেনি! কিন্তু এখন থেকে মানতে হবে, কারন Fiverr পর্যায়ক্রমে সব প্রোফাইল ভেরিফাই করছে। কাজেই ভেরিফাই করার পর, একাউন্ট ব্যান হয়ে গেল্‌ সেই NID, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আর কখনোই অন্য আরকটা আইডি ভেরিফাই করা যাবে না। 
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ফাইবার কিভাবে একটা আইডি ভেরিফাই করে। উত্তর খুব সোজা, সেটা হচ্ছে প্রোফাইল ভেরিফাই করার জন্য NID, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স আপলোড করলে, Fiverr এর রোবট OCR ( Optical character recognition ) এর মাধ্যমে সব কিছু টেক্টট এ রূপান্তর করে ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে। ফলে পরবর্তীতে একই আইডি আপলোড করলে সেটা OCR এর মাধ্যমে রিড করে ডাটাবেজ থেকে মিলিয়ে, তারা সাথে সাথে ধরে ফেলে। কাজেই এখন থেকে কোন আইডি ভেরিফাই হয়ে গেলে। সেই NID, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স আর কখনই অন্য আরেকটা প্রোফাইল ভেরিফাই করার কাজে ব্যাবহার করা যাবে না। কাজেই খুব সাবধানে কাজ করতে হবে যেন প্রফাইলের কোন মতেই ব্যান না হয়। আশা করি বিষয়টা সবাই গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখব!
পরিশিষ্ট
ফাইবার এর সব নিয়ম প্রতিনিয়ত চেঞ্জ হয় কাজেই আইডি ভেরিফিকেশন এর নিয়ম যেকোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে বা আপডেট হতে  কাজেই এই লেখা যখন লিখছি অর্থাৎ ১২ই জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত এটাই ভেরিফিকেশন এর নিয়ম ছিল সামনে হয়তো এটা পরিবর্তিত হতে পারে। লেটেস্ট আপডেট জানতে এই লিঙ্ক ভিজিট করতে পারেন। এখানে কিভাবে ভেরিফাই করতে হবে সেটা আপ টু ডেট  দেয়া আছে। এবং এটা প্রতিনিয়ত আপডেট হবে। ভেরিফিকেসনের সবকিছু সংক্ষেপে জানতে এই ভিডিও দেখতে পারেন। 
আশা করি আপনি আপনার আইডি সুন্দর ভাবে ভেরিফাই করতে পেরেছেন। কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেণ্টে জানাতে পারেন।যথা সাধ্য হেল্প করার চেষ্টা করব।
সবাই ভাল থাকবেন। 
ধন্যবাদ!