Sunday, December 22, 2019

ওয়েবসাইট + ব্লগিং এর মাধ্যমে কিভাবে আপনার Fiverr গিগ প্রমোট করতে পারেন?

ওয়েবসাইট + ব্লগিং এর মাধ্যমে কিভাবে আপনার Fiverr গিগ প্রমোট করতে পারেন?
ফিভার গিগ প্রমোশনের জন্য অনেক উপাই আছে কিন্তু আজকে নিজের ওয়েবসাইট + ব্লগিং এর মাধ্যমে কিভাবে আপনার ফিভার গিগ প্রমোট করতে পারেন এবং ফিউচারে যেন শুধু ফিভার এর উপর নির্ভর করতে না হয় সেই বিষয়ে আলোকপাত করবো ।
শুরুতেই বলেই নেই : কোন শর্টকাট খুজবেন না । রাতারাতি সফলতার চিন্তা না করে আপনি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্লেন তৈরী করে সেটির জন্য প্রতিদিন ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে চলুন । …. তাহলে চলুন শুরু করা যাক ।
ফিভার গিগকে প্রমোট করার জন্য ব্লগিং হলো অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম । ব্লগিং আপনাকে আপনার ক্যারয়িার থেকে হারিয়ে যেতে দিবে না । অনেক উচ্চ শিখর থেকে ধপাস করে নিচে পরে যেতে থাকলে ব্লগিং আপনাকে ধরে ফেলবে । বুঝেন নি কি বলতে চাইছি? ধরুন ফিভারে আপনি টপরেটেড সেলার । ভালোই চলছে সবকিছু । কিন্তু হঠাৎ দেখলেন কোন কারণে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড !!!! মাথাই হাত আপনার । তাই সময় নষ্ট না করে নিজের সার্ভিসের জন্য একটা ওয়েবসাইট আর সেটির সাথে রিলেটেড নিশ নিয়ে কাজ শুরু করুন ।
ধরে নিচ্ছি, আপনি ফিভারে ক্লিপিং পাথ বা ফটোশপ বেকগ্রাউন্ড রিমুভের কাজ করেন ( এটি সবচেয়ে ইজি কাজ তাই উদাহরণটা এটা দিয়েই দিচ্ছি ) । এখন আপনি যদি ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনার সার্ভিসকে প্রমোট করতে চান তাহলে নিচের পদক্ষেপ গুলো নিতে পারেন:
  1. আপনার সার্ভিস এর জন্য একটা ওয়েবসাইট তৈরী করুন । সেটা নিজস্ব ডোমেইন হোস্টিং দিয়ে শুরু করলে সবচেয়ে ভালো হয় ।
  2. একটা ক্লিপিংপাত এর সার্ভিসের জন্য ওয়েবসাইটের লোক কেমন হবে ? কি কি বিষয় থাকতে হবে? কিভাবে সার্ভিসগুলো সাজাবেন? এইসব জানার জন্য আপনি কম পক্ষে 5 টি এমন কোম্পানির বা ফার্মের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন যারা ক্লিপিংপাথের সার্ভিস দিচ্ছে । তাহলে আপনি মোটামুটি একটা ভালো ধারণা পেয়ে যাবেন কেমন হতে যাচ্ছে আমার ওয়েবসাইট । তবে কপি করে সেইম ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে যাবেন না । জাস্ট আইডিয়া নিলেন সেখান থেকে নিজের কনসেপ্ট তৈরী করলেন ।
  3. ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসলে যেন সরাসরি আপনার সাথে লাইভচেট করতে পারে প্রয়োজনে, সেই জন্য tawk.to এই টুলটি ইউজ করতে পারেন ।
  4. এখন আসল কথাই আসি । ওয়েবসাইট হলো কিন্তু ব্লগিং সেকশানে আপনি কি নিয়ে লেখালেখি করবেন? এটি বলার আগে আপনাকে একটা কথা বলি…. ধরুন আপনি বড়শী দিয়ে মাছ ধরতে বসছেন । বড়শীতে আপনি যে খাবার গুলো পছন্দ করেন যেমন চিপস, চকলেট, আইস্ক্রিম ইত্যাদী ছোট ছোট বল বানিয়ে বড়শিতে গেথে দিলেন!!! মাছ কি টোপে ঠুকর দেবে আপনার বড়শীতে গেথে দেওয়া আপনার পছন্দের খাবারে? না দেবে না । বরং মাছ কেচু পছন্দ করে । আপনি যদি বড়শীতে কেচু বেধে দিতেন তাহলে অবশ্যই ঠুকর দিত । কারণ তার পছন্দের আগ্রহের খাবারটাই আপনি বড়শিতে বেধে দিছেন ।

    ব্লগিং এর ক্ষেত্রেও এই বিষিয়টি প্রযোজ্য যখন প্রশ্ন আসে কি নিয়ে লেখালেখি করবেন? আপনি ক্লিপিংপাথের সার্ভিস সেল করছেন এখন চিন্তা করুন যে আপনার সার্ভিস কাদের বেশি প্রয়োজন? কারা নিয়মিত আপনার সার্ভিস নিতে পারে ? একটু চিন্তা করে বের করতে হবে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স এর নিশ কি । ক্লিপিংপাথের সার্ভিস এর ক্ষেত্রে আপনার টার্গেটেড ক্লায়েন্ট হলো আমাজনে, ইবেই বা শফিফাই এ ই-কমার্স এর বিজনেস করছে যারা তারা । বিশেষ করে যারা নুতন শুরু করেছে তারা আপনার বেশি টার্গেটেড। কারণ তাদের সাইটে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছবির রিটাচ, বেকগ্রাউন্ড রিমুভ, নেক জয়েন এর প্রয়োজন পড়ে । সুতরাং এই ক্ষেত্রে আমাদের নিশ হলো ই-কমার্স ।
  5. আপনি লেখালেখির বিষয় বা নিশ পেয়ে গেলেন এখন কি করবেন? এখন এই বিষয় নিয়ে রিচার্স করে নিয়মিত আর্টিকেল লেখা শুরু করে দিন । আর প্রতিটি আর্টিকেল প্রথম অবস্থায় 1500 -2500 ওয়ার্ডের হলে ভালো হয় । প্রশ্ন করতে পারেন এত লম্বা আর্টিকেল পড়ার সময় আছে নাকি মানুষের । আসলে শর্ট আর্টিকেল গুলো অডিয়েন্স বেশি পছন্দ করে । কিন্তু গুগোল এসইও এর জন্য দীর্ঘ রিসোর্সবহুল কন্টেন্টকে বেশি প্রাধান্য দেয় । তাই 1500 -2500 ওয়ার্ডের মানসম্মত আর্টিকেল হলে এসইও এর মাধ্যমে আপনার সাইটকে প্রথমে নিতে সহজ হবে। SEO সম্পর্কে যারা জানেন না তারা ইউটিউব থেকে শিখে নিয়েন বিস্তারিত । বাংলায় অনেক ভালো টিউটরিয়াল আছে ।

    ই-কমার্স এটার ভিতর অসংখ্য ছোট ছোট কেওয়ার্ড আছে যেগুলো ব্যাবহার করে আপনি চমৎকার সব আর্টিকেল লিখতে পারেন । যেমন : Online Marketing, marketing strategy for online shopping portal, recommendations for e-commerce business, E-commerce traffic growth, suggestion on e-business, how to expand e-commerce business, how to increase sales online, tactics to increase sales, increasing online revenue, how to grow e-commerce brand,

    কেওয়ার্ড এর জন্য আপনি keywordseverywhere.com এই টুলটা ইউজ করতে পারেন । আর চমৎকার সব টাইটেল তৈরী করতে ইউজ করতে পারেন www.title-generator.com ওয়েব সাইটটি যেখানে যেকোন কেওয়ার্ডের উপর সার্চ করে মুহূর্তেই 700 টাইটেলে পেয়ে যাবেন ।
  6. আপনার আর্টিকেলের ভেতর বা ওয়েবসাইটের ভিবিন্ন যায়গায় আপনার সার্ভিসকে প্রমোট করতে পারেন । পোপআপ শো এর মাধ্যমে একটা অফার করতে পারেন যেমন: আপনি প্রথম 5–10 টি ইমেজের কাজ ফ্রিতে করে দেবেন টেস্ট হিসেবে । কোন বই ফ্রিতে দেয়ার মাধ্যমে লিড ক্যাপচার করে তাদের ইমেইলকে কালেক্ট করতে পারেন যেখানে পরবর্তিতে আপনার সার্ভিকে প্রমোট করতে পারেন। এমনকি যে পিডিএফ বইটি ফ্রিতে দেবেন সেটির ভিতরেও আপনার সার্ভিকে প্রমোট করতে পারেন।
  7. এখন কথা হলো আপনি চমৎকার সব কন্টেন্ট দিয়ে ওয়েবসাইট সাজালেন কিন্ত যাদের জন্য আর্টিকেল লিখলেন তারা কিভবে আসবে আপনার সাইটে ? তারা গুগোলে সার্চ করার মাধ্যমে খুজে পাবে আপনার ওয়েবসাইটকে তবে এর জন্য এসইও এর মাধ্যমে আপনার ব্লগ সাইটকে রেঙ্কিং করে নিতে হবে। এটা একটু সময়ের আর পরিশ্রমের বেপার । আমি যতটা সহজে বলে ফেলছি আসলে ততটা সহজ নই । একটু পরিশ্রমত করতে হবেই।

    প্রথম অবস্থায় ট্রাফিক (ভিজিটর) আনার জন্য আপনি আপনার প্রতিটি আর্টিকেল ব্লগে পোস্ট করার পর সেটিকে বিভিন্ন স্যোসিয়ালমিডিয়া সাইট যেমন টুইটার, পিন্টারেস্ট, ইন্সটাগ্রাম, লিংকদিন এ শেয়ার করতে পারেন । টুইটার, পিন্টারেস্ট, ইন্সটাগ্রাম, লিংকদিন এ নিয়মিত আপনার নিশ রিলেটেড টার্গেটেড লোকদেরকে ফলো করুন । তাদের সাথে যুক্ত হোন বিভিন্নভাবে যেমন , তাদের পোস্টে কমেন্ট, লাইক, মেসেজে কথা বলার মাধ্যমে । তবে সাবধান কখনো মেসেজে গিয়ে ডাইরেক্টলি আপনার সার্ভিস অফার করবেন না । Be Influence Marketer Not a salesman । নিশ রিলেটেড টার্গেটেড লোকদেরকে কে খুজে পাওয়ার জন্য টুইটার, পিন্টারেস্ট এ আমাজন, শফিফাই, ইবেই কে যারা ফলো করে রেখেছে তাদের মধ্যে বেশিভাগই আপনার টার্গেটেড ক্লায়েন্ট ।
সোসিয়াল মিডিয়া মার্কেটিং এর বেপারে বিস্তারিত লিখতে গেলে আর্টিকেলটা আরোও অনেক বড় হয়ে যাবে । এটি নিয়ে অন্যকোন সময় লিখার আশা রাখি । ভালো থাকবেন । হাতাশ হবেন না। লেগে থাকুন । সাফল্য আসবেই।

No comments:

Post a Comment